পরিচালকঃ মার্ক ফ্রষ্টার

অভিনয়ঃ জনি ডেপ, কেট উইন্সলেট, রাধা মিশেল, ডাস্টিন হফম্যান।
IMDB: 7.7

"Unlock Your Imagination..."

স্যার জেমস ম্যাথিও ব্যারি নামটা কি খুব পরিচিত মনে হচ্ছে? অনেকের’ই হবার কথা। যারা জানেন না তাদের বলছি এই মানুষটা বিশ্ববিখ্যাত চরিত্র পিটার প্যানের স্রষ্ঠা। পিটার প্যানকে মনে আছে তো? ওই যে, সেই চিরসতেজ মিষ্টেরিয়াস বালক; নেভারল্যান্ডে উড়ে বেড়ায়। যাই হোক; “ফাইন্ডিং নেভারল্যান্ড” স্যার জেমস ম্যাথিও ব্যারির’ই সেমি- অটোবায়োগ্রাফি। মার্ক ফ্রষ্টারের পরিচালিত মুভিটি অ্যালান নি রচিত “দ্যা ম্যান হু ওয়াজ পিটার প্যান” বই অবলম্বনে করা। জে, ব্যারির ভুমিকাতে আছেন ওয়ান এ্যান্ড অনলি জনি ডেপ। এছাড়া সিলভিয়া ডেভিডস্‌ ও চার্লস ফ্রোম্যানের এর ভুমিকায় যথাক্রমে কেট উইন্সলেট এবং ডাস্টিন হফম্যান অভিনয় করেছেন। অস্কারে সাতটি শাখাতে নমিনেশান পেলেও ‘বেষ্ট অরিজিনাল স্কোর’ শাখাতেই শুধুমাত্র পুরষ্কার পায় এই মুভি। “ফাইন্ডিং নেভারল্যান্ড” এ প্রথমেই যেটা চোখে পরবে সেটা হলো অসাধারন সিনেমাটোগ্রাফী; আর সাথে যুক্ত হয়েছে কাজমার্কের আবহ সঙ্গিত যা আপনাকে নেভারল্যান্ডের কল্পনার জগতে নিয়ে যাবে।

জেমস ব্যারির সাথে পিতৃহারা চার শিশু এবং তাদের মা’এর সাথে সম্পর্ককে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে মুভির মূল কাহিনী। এই পরিবার’ই ব্যারির উপরে পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলে পিটার প্যান সৃষ্টিতে। মুভির কাহিনী মোটেও বলা যাবে না। স্প্যলার  হয়ে যাবে। তারপরেও ছোট্ট করে বলি -  “লিটল ম্যারি” নাটকের ব্যার্থতার পরে নাট্যকার জেমস ব্যারি স্বভাবতই ভেঙ্গে পরে। এই সময় তার পরিচয় হয় বিপত্নীক সিলভিয়ার সাথে। কিংস্টোন গার্ডেনে সিলভিয়ার চার সন্তানের সাথে গভীর বন্ধুত্ত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে জেমস এর; বিশেষ করে ছোট্ট পিটার ডেভিস এর সাথে। তাদের ইনোসেন্স দেখেই জেমস এর মধ্যে প্রথম একটা চিন্তার উদয় হয়; ‘যদি বাচ্চাগুলো এমন’ই থাকত সারাজীবন, যদি তাদের বয়স না বাড়ত’। ওপরদিকে ব্যাক্তিগত জীবনে জেমস এর নানান ঝামেলা শুরু হয়। এইসময় এগিয়ে আসে চার্লস ফ্রোম্যান; তাকে সুযোগ দেয় তার মঞ্চে কাজ করবার। সৃষ্টি হয় পিটার প্যানের। কিন্তু জেমস ও সিলভিয়ার সম্পর্কের কি হবে? বাচ্চাগুলোকে কি সে হারাবে? শেষ অবধি কে সত্যিকারের নেভারল্যান্ডে যেতে পারবে?

জনি ডেপের অভিনয় সম্পর্কে বলার কিছু নাই। বরাবরের মতই অসাধারন। বেস্ট এ্যাক্টর হিসেবে নমিনেশান ও পেয়েছিলেন। কেট উইন্সলেটও তার অভিনয় দক্ষতার পূর্ণ পরিচয় রেখেছেন এই মুভিতে। পরিপুর্ণ তৃপ্তি পাবেন মুভি শেষ হলে। এটা কোনো ফ্যান্টাসি মুভি নয়; মনের কল্পনাকে বাস্তবতাতে রুপদান করার মুভি “ফাইন্ডিং নেভারল্যান্ড”। জেমস এর সাথে ছোট্ট পিটারের একই সাথে বন্ধুত্ত্বপূর্ণ এবং পিতৃসূলভ সম্পর্ক মনের গভীরে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে। না দেখে থাকলে দেখুন মুভিটা; কল্পনার জগৎ কে নতুন করে দেখতে শিখবেন।


"gently seductive, genuinely tender and often moving without being maudlin" and added, "Depp and Winslet share a rare combination of airiness, earthiness and sharp, wry intelligence."

(Los Angeles Times)